১৯৬৩ (২৮-২৯ মে): চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজারসহ উপকূলবর্তী দ্বীপ কুতুবদিয়া, সন্দ্বীপ, হাতিয়া ও মহেশখালীতে আঘাত হানে। ১১ হাজার ৫২০ জনের মৃত্যু ঘটে।
১৯৬৫ (১১-১২ মে): বরিশাল ও বাকেরগঞ্জে ১৬ হাজার ৪৫৬ জনের মৃত্যু ঘটে।
১৯৬৪ (১৪-১৫ ডিসেম্বর): কক্সবাজার, পটুয়াখালী জেলাসহ সোনাদিয়া, রাঙ্গাদিয়া ও হামিদিয়া দ্বীপে আঘাত হানে। ৮৭৩ জনের মুত্যু ঘটে।
১৯৬৬ (১ অক্টোবর): সন্দ্বীপ, বাকেরগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় আঘাত হানে। ৮৫০ জনের মৃত্যু ঘটে।
১৯৬৯ (১৪ এপ্রিল): ঢাকা জেলার ডেমরায় টর্ণেডো আঘাত হানে। ৯২২ জন মারা যায়।
১৯৭০ (১২-১৩ নভেম্বর): বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রাণ ও সম্পদ বিনষ্টকারী ধ্বংসাত্মক ঘুর্ণিঝড় সংঘটিত হয়। চট্টগ্রাম, বরগুনা, খেপুপাড়া, পটুয়াখালী, চর বোরহানউদ্দিন, চর তজিমুদ্দিন, মাইজদীর দক্ষিণাঞ্চল ও হরিণঘাটা এলাকায় ওই ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
১৯৭১ (৫-৬ নভেম্বর): চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে। মানুষ ও গবাদি পশুর ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।
১৯৭৩ (৬-৯ ডিসেম্বর): সুন্দরবন ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চলে আঘাত হানে।
১৯৭৪ (১৩-১৫ আগস্ট): খুলনায় আঘাত হানে। ৬০০ জনের মৃত্যু ঘটে।
১৯৭৪(২৪-২৮ নভেম্বর): কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। ২০০ জনের মৃত্যু ঘটে।
১৯৭৭ (৯-২২ মে): খুলনা, নোয়াখালী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও উপকূলবর্তী দ্বীপগুলোয় আঘাত হানে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
১৯৮৩ (১৪-১৫ অক্টোবর): উপকূলবর্তী দ্বীপগুলো এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
১৯৯১ (২৫-২৯ এপ্রিল): সম্পদের আর্থিক ক্ষতির ছিল ৬,০০০ কোটি টাকা। মৃত্যু হয়েছিল ১,৫০,০০০ মানুষের। ৭০,০০০ গবাদি পশু এ ঝড়ে মারা যায়।
১৯৯৮ (১৯-২২ নভেম্বর): উপকূলবর্তী দ্বীপগুলো এবং খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালীর চরাঞ্চলে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসসহ ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানে। রাস্তাঘাট ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এছাড়া ১৫ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক ঝড় 'সিডর' দেশের ২২টি জেলায় আঘাত হানে। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা খুলনা, বরিশাল এবং দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এর মধ্যে ছিল ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, মংলা ও সাতক্ষীরা। ১৩১ বৎসরের মধ্যে সংঘটিত বড় ১০টি ঝড়ের মধ্যে সিডর ছিল সবচাইতে শক্তিশালী। ২ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঘূর্ণিঝড়টি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার আয়তনের বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে। নাসা'র মতে এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২৬০-২৮০ কিলোমিটার। সাফিন সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী নাসা সিডরকে ৪ নম্বর ক্যাটাগরির ঝড় বলে চিহ্নিত করেছে। সিডরের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন ডলার বা ১৬,১০০ কোটি টাকা। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মতে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার। আর সরকারের মতে, ২২৯৯ জন।
Sunday, April 20, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 টি মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, ভাবনা, ভিন্নমত প্রকাশ করুন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলে ইমেইল করুন।