প্রত্যেক বস্তু আসলে অসংখ্য কণার সমস্টি। কোন জড়বস্তু যখন ক্রমাগত ক্ষয় পেতে থাকে, তখন তার শরীর থেকে কণাগুলো খসে খসে পড়ে। এই কণাগুলো ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। অল্প কিছু কণা হয়তো খালি চোখে চট করে দেখা যায় না। কিন্তু অনেকগুলো কণা একখানে যখন জমে যায় তখন তাকে আমরা ধুলো বলে খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারি। এই বস্তুর গুড়োগুলো বাতাসে ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে চলে যেতে পারে। অল্প পরিমাণ ধুলো একেবারে দেখা যায়না কথাটি সবক্ষেত্রে সঠিক নয়। বিকেলবেলা যখন জানালা দিয়ে তির্যকভাবে ঘরের ভেতর এসে পড়ে তখন বিছানা একটু ঝাড়লে অসংখ্য ধুলোকণাকে বাতাসে উড়ে বেড়াতে দেখা যায়।
কোন জিনিস পোড়ালেও ধুলো উৎপন্ন হতে পারে। তার যে ধোঁয়া সেটাও এক রকমের ধুলো। নদীর চর বা মরুভূমি থেকেও প্রচুর পরিমাণ ধুলো আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
শীতকালে সকালবেলা চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। এই কুয়াশা তৈরি হয় বাষ্প এবং ধুলোর মিশ্রণে।
ধুলো যদি না থাকতো তাহলে আমাদের পৃথিবীতে ঝপ করে রাত্রি নেমে আসতো। কিংবা হঠাৎ করে সকাল হয়ে যেত। সন্ধ্যা বা ভোর বলে কোনকিছু তখন থাকতো না। ধুলোতে সূর্যের রশ্মি বিকিরিত হয়ে চারপাশে ঠিকরে পড়ে। এই জন্য সকালবেলা যখন সূর্য উদয় হয় তখন তার আলো আগেই আকাশের ধুলোর গায়ে পড়ে। এই আলোতে চারপাশ আবছাভাবে আলোকিত হয়ে যায়। আবার সন্ধ্যাবেলাতেও একই ব্যাপার। সূর্য যখন ডুবে যায় তখন তার আলো ধুলোতে বিকিরিত হয়ে আরও কিছুক্ষণ চারপাশকে আলোকিত করে রাখে। এই জন্য সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার নেমে আসে না।
0 টি মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, ভাবনা, ভিন্নমত প্রকাশ করুন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলে ইমেইল করুন।