Monday, March 3, 2008

ম্যালেরিয়া আবিষ্কারের কাহিনী

ম্যালেরিয়া আবিষ্কারের কাহিনী
সুশান্ত বর্মন

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ানক প্রাণীটির নাম জানতে চাইলে অনেকেই সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়ে দেবেন। কেউ বলবেন বাঘের কথা, কেউ বা বলবেন ডাইনোসরের কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো সেই ভয়ংকর প্রাণীটির নাম মশা। প্রাণী হিসেবে এটি খুবই ক্ষুদ্র; কিন্তু কাজে কর্মে প্রচন্ড ভয়ানক। ম্যালেরিয়ার প্রতিরোধক বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হবার পূর্ব পর্যন্ত কত লোক যে অকালে মৃত্যুবরণ করেছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া বোধহয় কখনও সম্ভব হবে না। তবে এই উপমহাদেশে ইংরেজ আমলের এক বছরের হিসেবে দেখা যায় সে বছর মোট ১৩ লক্ষ লোক মারা গেছে এই ছোট প্রাণীটির আক্রমণে। প্রাচীন মানুষ যারা জ্ঞানে অল্প, বুদ্ধিতে হীন, অলৌকিকতায় বিশ্বাসী, নিয়তিবাদী তারা মশার হিংস্র আক্রমণে এতই বিপর্যস্ত ছিলো যে তাকে নিয়ে অসংখ্য গল্প রচনা করেছে। কোন কোন গল্পে দেখানো হয়েছে ছোট মশাটি হাতীর শুঁড় দিয়ে মগজে ঢুকে তাকে আঁচড়ে কামড়ে পাগল করে দিয়েছিলো। শারীরবিদ্যা না জানা ব্যক্তিদের পক্ষে এমন কথা ভাবাই সম্ভব যে নাক দিয়ে ঢুকে মগজে যাওয়া যায় না; কিন্তু এ ধরণের বিভিন্ন গল্প মূলতঃ মশার কর্মক্ষমতার সামনে মানুষের অসহায়তাকেই তুলে ধরে। মশার রক্তলোলুপ ক্ষমতার বিপরীতে অসহায় মানুষ এমন গল্পের সৃষ্টি করে সান্তনা পেতে পারে বৈকী; কিন্তু তাতে বাস্তব অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়না।
মধ্যযুগে ইউরোপে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ব্যাপক ছিলো। সেসময়ও ম্যালেরিয়া নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছিল কিন্তু বিশ্বাসবাদী বৈজ্ঞানিক গবেষণায় যা হয়; মশা সম্পর্কিত গবেষণাও তার বাইরে থাকেনি। বৈজ্ঞানিক নামের এক দল অনেক গবেষণা করে আবিষ্কার করলেন যে ম্যালেরিয়া রোগ হয় দূষিত বাতাস থেকে। তারা লক্ষ করলেন পঁচা ডোবা-পুকুর-নালা-জলাশয়-ঘিঞ্জি ঘর, স্যাঁতস্যাতে জায়গা ইত্যাদির পাশে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এই রোগের সহজ শিকারে পরিণত হয়। তাই তারা ভাবলেন পঁচা জল থেকে উৎপন্ন দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস জাতীয় অসুস্থ্যতার মূল কারণ। এই মহা গবেষণা শেষে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন দূষিত বাতাসের কারণেই এই রোগ হয়। তাই তার নাম রাখলেন ‘ম্যালেরিয়া’ যার অর্থ ‘দূষিত বাতাস’।
১৮৮০ সাল। আলজিরিয়ার হাসপাতালে কাজ করেন লাভারেন নামের এক ফরাসী ডাক্তার। সে সময় আলজিরিয়াতে ম্যালেরিয়াতে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক মারা যেতো। একদিন অনুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে কাজ করতে করতে কৌতুহলবশতঃ কয়েকজন ম্যালেরিয়া রোগীর রক্ত স্লাইডে নিলেন। অনুবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ দিয়ে দেখতে পেলেন রক্তের মধ্যে কালো কালো অসংখ্য দানা দেখা যাচ্ছে। তিনি ভালো রক্তের সাথে তুলনা করে বুঝতে পারলেন এরাই ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু। তিনি এর সাথে মশার সম্পর্কের সম্ভাবনার কথা ভাবলেন। তিনি ধারণা করলেন কোনভাবে হোক মশার দেহে এই জীবাণগুলো ঢোকে। তবে এ বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারলেন না। কোন জাতের মশা এ ধরণের জীবাণুর বাহক; জীবাণুগুলো কিভাবে মশার শরীরে ঢোকে অথবা কিভাবেই বা মশাবাহী জীবাণুগুলো এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির শরীরে সংক্রামিত হয় সে বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য বা দিকনির্দেশনা দিতে পারলেন না। তিনি এই জীবাণুদের নাম রাখলেন ‘ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইট’।
লাভারেন এর আবিষ্কারের কথা প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে চারিদিকে সাড়া পড়ে গেলো। তার বক্তব্যকে ভিত্তি ধরে অনেকে গবেষণা শুরু করে দিলেন। এর মধ্যে ম্যানসন নামের এক ইংরেজ ডাক্তার এক নতুন কথা বললেন। তিনি জানালেন- যে ধরণের মশা জীবাণ বহন করে তারা আসলে ‘বিষাক্ত মশা’(?)। এই বিষাক্ত(?) মশারা যদি খাবার জল বা কোন খোলা খাদ্যে বসে তাহলে সেই খাবারটি বিষাক্ত হয়ে যায়। এমন বিষাক্ত খাবার যদি কোন সুস্থ্য ব্যক্তি গ্রহণ করে তাহলে তার শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণ প্রবেশ করে এবং সেও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়। অভূতপূর্ব এই গবেষণা কর্মটির ফলে যে সিদ্ধান্ত বের হয়ে এলো তার নাম ‘দূষিত জল মতবাদ’। অজ্ঞতা, কুসংস্কার, বিশ্বাসের প্রতি প্রবল বিশ্বাস, পশ্চাৎপদতা ইত্যাদির প্রভাব মানবজীবনে কম নয়। বিজ্ঞানের ইতিহাসে আমরা এর বাস্তব প্রমান খুব কাছাকাছি থেকে দেখি। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ইতিহাসে এরকম অজ্ঞতা ও বুদ্ধিহীনতার প্রমাণ মোটেই কম নয়। যুগে যুগে কালে কালে বিজ্ঞান নামের এমন অপবৈজ্ঞানিক চর্চার ধারা আজও থেমে থাকেনি। ম্যানসনের এই অসাধারণ আবিষ্কারের ফলে ম্যালেরিয়া সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানা হয়ে গেছে বলে মনে করা হলো। ফলে নতুন কোন তথ্য আর আবিষ্কার হলো না।
ভারতীয় উপমহাদেশে তখন ইংরেজ শাসন চলছিলো। ভারতের হায়দ্রাবাদ রাজ্যের সেকেন্দ্রাবাদ শহরের এক ছোট হাসপাতালে কাজ করতেন সেনাবাহিনীর তরুণ ইংরেজ ডাক্তার মেজর রোনাল্ড রস। ১৮৯৪ সালের গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন। সমস্ত ছুটির সময়টা তিনি লন্ডনেই কাটাবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। একদিন তিন দেখা করতে গেলেন ডা: ম্যানসনের কাছে। তিনি ডা: রসকে ডা: লাভারেন এর কথা জানালেন। বললেন তার নিজের ধারণার কথা। ডা: রসকে উৎসাহিত করে বললেন -‘ভারতবর্ষে ম্যালেরিয়া একটি অন্যতম সমস্যা। প্রত্যেক বছর সেখানে হাজার হাজার লোক ম্যালেরিয়ায় ভুগে মারা যায়। সেখানেই এ বিষয়ে গবেষণা করার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। তোমার গবেষণার প্রত্যক্ষ সুফল তাদেরই পাওয়ার অধিকার প্রথমে রয়েছে।’ ডা: রস ডা: ম্যানসনের কথা শুনে খুবই আশান্বিত হলেন। তিনি ভারতবর্ষের ম্যালেরিয়া সম্পর্কিত সমস্যাটি জানেন। তিনি এটাও জানেন ভারতে কাজ করতে আসা প্রায় প্রত্যেক ডাক্তার এই নিয়ে গবেষণা করেছেন ও করছেন। অনেক রকমের অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষাও গবেষকরা করেছেন কিন্তু তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ম্যালেরিয়ায় মৃত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছিলো। পূর্ববর্তী গবেষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে হাতে ছিলো শুধু কুইনাইন। কিন্তু তাও ততোটা কার্যকরী ছিলোনা। তাই কুইনাইন দিয়ে রোগীকে সাময়িকভাবে সুস্থ্য করাই শুধু যেতো। তাছাড়া গবেষকরাও নিশ্চিত ছিলেন না এই রোগের পিছনে মশার ভূমিকা কতটুকু আছে তা নিয়ে। কারণ কেউ নিশ্চিত করে জানতো না এ রোগের উৎপত্তি কোথায়; কেমন করেই বা তা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। গবেষকদের এই মহাকালিক অজ্ঞতার কারণে সারা পৃথিবীসহ সেকালে ভারতবাসীকে এক অন্তহীন আতংককে সাথে নিয়ে দিন কাটাতে হতো।
ছুটি শেষে ভারতে আসতে আসতেই ডা: রস তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক করে ফেললেন। জাহাজের ডেকে বসে বসে স্থির করে ফেললেন ম্যালেরিয়ার রহস্য তাকে ভেদ করতেই হবে। নতুন উদ্যমে ভারতে ফিরে এসে ডা: রস তার সেকেন্দ্রবাদের কর্মস্থলে য়োগ দিলেন। প্রথমে প্রতিদিন মশা ধরে আনার জন্য বেতনের ভিত্তিতে কয়েকজন ব্যক্তিকে ঠিক করলেন। এদের নাম দিলেন ‘মসকুইটোম্যান’। তিনি ভেবেছিলেন ধরে আনা মশাগুলোকে দিয়ে ম্যালেরিয়াল প্যারাসাইট ভর্তি রক্ত গ্রহণ করাতে হবে। যদিমশাই ম্যালেরিয়া রোগের বাহক হয় তাহলে তাদের পেটে নিশ্চয় এই জীবাণুগুলোকে জীবন্ত পাওয়া যাবে। ভাবামাত্র ডা: রস কাজ শুরু করে দিলেন। একটি বন্ধ ঘরে একজন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে রেখে সেখানে কতগুলো মশা ছেড়ে দেয়া হলো। বেশ কিছুক্ষণ পর মশাগুলোকে আবার ধরে তিনি গবেষণাগারে নিয়ে এলেন। এরপর মশাগুলোর দেহ ব্যবচ্ছেদ করে তিনি অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন। মাসের পর মাস ধরে তিনি এই অনুসন্ধান চালিয়ে গেলেন। কিন্তু কোন ফল হলো না। তার এতদিনের পরিশ্রম যেন বিফল হযে যেতে লাগলো। তাই বলে তিনি নিরাশ হলেন না। কারণ মশা থেকেই যে এই রোগটা ছড়ায় এটা বৈজ্ঞানিকভাবে এতোদিনে প্রমাণিত হয়েছে। অতএব মশার মাঝেই খুজতে হবে এর উৎস ও জীবন প্রবাহ। তিনি ভাবলেন হয়তো কোন পদ্ধতিগত ভুল হচ্ছে। তাই তিনি ভিন্ন পদ্ধতিতে এগোবার চেষ্টা করলেন। তিনি এবার নিজস্ব পদ্ধতি ছেড়ে ম্যানসনের দেয়া মতবাদ নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন। ম্যানসনের ‘দূষিত জল’ মতবাদ মাথায় রেখে তিনি একটি প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করলেন। প্রথমে একটি কাঁচের বোতলে কিছু জল নিলেন। ম্যালেরিয়া রোগীর রক্ত গ্রহণ করেছে এমন কয়েকটি মশাকে সেখানে ছেড়ে দিলেন। এরপর বোতলটি একটি নিরাপদ স্যাঁতস্যাতে অন্ধকার জায়গায় রাখলেন। ৫/৬ দিন পর বোতলটিকে বের করলে দেখা গেল মশাগুলি সব মারা গেছে। কিন্তু কয়েকটি মশার লার্ভা জলের উপর ভাসছে। ডা: রস বুঝতে পারলেন আগের মশাগুলি এই জলের মধ্যে ডিম পেড়েছিলো। সেই ডিম ফুটেই লার্ভাগুলি বের হয়েছে। ম্যানসনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বোতলের জলগুলো এখন দূষিত। অনেক টাকার বিনিময়ে ডা: রস সেই বোতলের জল কয়েকজন ব্যক্তিকে খাওয়ালেন। বেশ কিছুদিন কাটলো কিন্তু ‘দূষিত জল’ পান করা ব্যক্তিরা পূর্ববৎ সুস্থ্যই রইলো। কারও মধ্যে অসুস্থ্যতার সামান্য লক্ষণও দেখা গেলো না।
ডা: রস বুঝতে পারলেন না সমস্যাটা কোথায়। তবে এটা সিদ্ধান্ত নিলেন যে ম্যানসনের বহুল প্রচারিত, প্রশংসিত ও সমর্থিত ‘দূষিত জল’ মতবাদটি মোটেও সঠিক নয়। পরপর এরকম ব্যর্থতার পরও তাঁর গবেষণা কর্মে কোন ভাটা পড়েনি। অনুবীক্ষণ যন্ত্রের আইপিসে চোখ লাগিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে ব্যবচ্ছেদ কৃত মশার লাশ তিনি পরীক্ষা করেই যাচ্ছিলেন। মশার শরীরের গভীরে চোখ রেখে একদিন ভাবলেন জাত অনুযায়ী রক্ত বিচারের কথা। এবার তিনি আশার আলো দেখলেন। সমসাময়িক সময়েই মসকুইটোম্যানরা কয়েকটি নতুন বৈশিষ্ট্যের মশা ধরে নিয়ে এলেন। এগুলো স্ত্রী জাতীয় এনোফিলিস মশা। পাখার উপর বাদামী রঙের কয়েকটি দাগ দেখে সহজে চেনা যা। তিনি এই এনোফিলিস জাতের মশাগুলোকে এর আগে কখনো পরীক্ষা করেননি। এই নতুন আনা মশাগুলোকে তিনি ম্যালেরিয়া রোগীর ঘরে ছেড়ে দিলেন। এই নতুন জাতের মশার দলটির পেটেই তিনি খুঁজে পেলেন ম্যালেরিয়ার জীবাণু। তার এতোদিনের প্রচেষ্টা সফল হলো। তিনি বিভিন্নভাবে জীবাণুগুলোকে পরীক্ষা করলেন। কয়েকটা পাখিকে কামড়াতে দিলেন। পাখিদেরও ম্যালেরিয়া হলো। রস আবিষাকার করলেন- ম্যালেরিয়া নামক ভয়ংকর রোগটির পালন ও বিস্তার মশাদের মধ্যে এনোফিলিশ জাতের শুধুমাত্র নারীরাই দায়ি। পুরুষরা রক্তলোলুপ বা হিংস্র নয়। তারা ফল, গাছের রস খেয়ে বেঁচে থাকে। তারা মানুষের ঘরে ঢোকার চেয়ে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। কিন্তু নারীরা মোটেও সেরকম নিরীহ নয়। এনোফিলিস নারীরা প্রচন্ড ভয়ংকর। মানুষ বা গবাদিপশুর রক্ত খেতে তারা খুব ভালোবাসে। মানুষের ঘরের বিছানায়, চেয়ারের ফাঁকে এরাই অবৈধভাবে ঘুরে বেড়ায় ও পেটে পেটে জীবাণু ছড়ায়। ডোরাকাটা সুন্দরী নারী এনোফিলিসরা ম্যালেরিয়ার জীবাণূকে পেটের ভিতরে আশ্রয় দেয়; জীবাণুগুলো ধীরে ধীরে বড় হয়ে পূর্ণঙ্গতাপ্রাপ্ত হয়। তখন এদের Sporozoite বলে। Sporozoite নারী এনোফিলিসদের ঠোঁট সংলগ্ন লালা গ্রন্থিতে থাকে। অর্থাৎ মশাটি যখন মানুষকে কামড় বসায় তখনই প্যারাসাইটগুলো সেই ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে। আর এভাবেই ম্যালেরিয়ার জীবাণু একের পর একে ব্যক্তিকে আক্রান্ত করতে থাকে।
ডা: রস তাঁর এই আবিষ্কারের কথা প্রাথমিক দিকে কয়েকজনকে বলেছিলেন। অনেকে তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চায়নি। কিন্তু তিনি ধৈর্য্য ধরে গবেষণা করে সকলের সামনে তাঁর প্রমাণ উপস্থিত করলেন।
ডা: রসকে তাঁর এই অনবদ্য কীর্তির জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে ১৯০২ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। শুধু একটি মাত্র অনুবীক্ষণ যন্ত্র সম্বল করে মেজর রস মানব জাতির যে উপকার করেছেন তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর আবিষ্কারের আগে প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া একটি ভয়ংকর রোগের নাম ছিলো। ডা: মেজর রস ম্যালেরিয়া উৎপত্তির যথার্থ স্থান চিহ্নিত করেমানুষের অসহায় মৃত্যুর সম্ভাবনাকে একেবারে সীমিত করে এনেছেন। পরে তার নামে Institute of Tropical Medicine এর নামকরন করা হয়। ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই মহান চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

0 টি মন্তব্য:

Post a Comment

আপনার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, ভাবনা, ভিন্নমত প্রকাশ করুন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলে ইমেইল করুন।