Friday, February 29, 2008

হৃদরোগ থেকে মুক্তি

হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ কথা নয়। কিন্তু একটু সতর্ক থাকলে হৃদআক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত থাকা যায়। নিচে উদ্ধৃত ১০টি কৌশল হল হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর অন্যতম উপায়। এখানে প্রদত্ত টিপসগুলোর প্রথম ৭টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সাতটি টিপস নিয়মিত অনুসরণ করলে হৃদরোগের ঝুকি ৯০ শতাংশ কমানো যায়। রিডার্স ডাইজেস্ট এ এই টিপসগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
  1. প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা। যারা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাটেন তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা ৩০% কম। মেয়েরা প্রাকৃতিকভাবেই ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত হৃদআক্রমণের ঝুকির মধ্যে কম পড়ে। তাই পুরুষদেরকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
  2. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। সামান্য ব্যায়াম এ কাজটি সহজেই করতে পারে। রক্তচাপ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে ১১৫/৭৫ এর মধ্যে।
  3. দিনে এক আউন্স বাদাম খেতে হবে। বাদামে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। সতেজ, কাঁচা আর লবণহীন বাদাম সবচেয়ে উপকারি। অথবা ওভেনে ১৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ৯ মিনিট রাখার পর যথাযথভাবে ভাজা হয়।
  4. HDL জানতে হবে এবং তা ৫০ এর উন্নীত করার চেষ্ট করতে হবে। ব্যায়াম করে, দিনে একবার সামান্য মদপান করে, স্বাস্থ্যবান্ধব চর্বি গ্রহণ করে (জলপাই, বাদাম খেয়ে) এ কাজ করা যেতে পারে।
  5. সপ্তাহে ১০ টেবিল চামচ টমেটো সস গ্রহণ। টমেটো সস রক্তচাপ হ্রাসে সহায়ক পটাশিয়াম সমৃদ্ধ।
  6. নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করা। দাঁতের রোগ থেকেও হৃদরোগ হতে পারে। আমরা অনেকেই জানিনা মুখের স্বাস্থ্য ধমনী সংক্রান্ত রোগে অবদান রাখে, যা হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ এবং যৌন অঙ্গ আক্রান্ত করে। ত্বকের বলিরেখা বৃদ্ধিতেও মুখের স্বাস্থ্য দায়ী।
  7. প্রতিদিন ২০ গ্রামের কম সম্পৃক্ত চর্বি এবং যত কম পারা যায় Trans Fat গ্রহণ করা। সম্পৃক্ত চর্বি (Saturated fat) এবং ট্রান্স চর্বি (Trans Fat) ধমনীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। ট্রান্স চর্বি (Partially Hydrogenated Oils) প্রক্রিয়াজাত এবং ঝলসানো খাবার থেকে আসে।
  8. প্যাকেটজাত খাবার পরিহার। যে সব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ চিনি আছে তা পরিহার করতে হবে। প্যাকেটজাত খাবারে এটা বেশি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত চিনি পেটের চারপাশে বিপজ্জনক চর্বি তৈরি করে।
  9. মদ খাওয়া। অনেকে মদ খাওয়াকে খারাপ বলে মনে করেন। কিন্তু গবেষণাতে দেখা গেছে যারা সামান্য অথবা বেশি মদপান করেন তাদের থেকে যারা মদপান করেননা তাদের হৃদআক্রমণ হবার আশংকা বেশি। অবশ্য অতিরিক্ত মদপান করলে ক্যান্সার হতে পারে। তাই একবারে বেশি না খেয়ে প্রতিরাতে ১ গ্লাস মদ পান করা স্বাস্থ্যকর।
  10. ফল ও সবজি বেশি খাওয়া। ফল ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ আছে। সতেজ ফল ও সবজি ভালভাবে ধুয়ে রান্না করে খেতে হবে।
বস্তুত: ভালভাবে বাঁচতে হলে ত্রিশোত্তর বয়সে অবশ্যই শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করতে হবে। প্রতিদিন হাঁটা, নিয়মিত একটু ব্যায়াম, Junk Food পরিহার এরকম কিছু সাধারণ সাবধানতা অবলম্বন এর জন্য যথেষ্ঠ।

0 টি মন্তব্য:

Post a Comment

আপনার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, ভাবনা, ভিন্নমত প্রকাশ করুন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলে ইমেইল করুন।