লার্জ হাড্রন কোলাইডার (Large Hadron Collider. LHC):
সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত এই যন্ত্রটি দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টিকালীন সময়ের একটি মুহূর্ত তৈরি করা সম্ভব। এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্বসৃষ্টিকালীন সময়ের অনেক না জানা প্রশ্নে উত্তর পাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে এই বিশালাকার মেশিনটি চালু করা হয়। প্রাথমিক পরীক্ষায় যন্ত্রটি সুন্দরভাবে কাজ করে। সামান্য কিছু ত্রুটির কারণে চালু করার ২ সপ্তাহ পর বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে ২০০৯ সালের জুন মাসের কোন এক সময়ে এই যন্ত্রটিকে আবারো পূর্ণ কার্যক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
মঙ্গলের উত্তর মেরু:
ইতিপূর্বে মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন জায়গায় পৃথিবী থেকে পাঠানো যন্ত্র পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু এবারই প্রথম মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরুতে একটি নিবিড় গবেষণা চালানো সম্ভব হয়েছে। নাসা'র বিজ্ঞানীরা জীবনের অন্যতম উপাদান জলের খোঁজ করার জন্য মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরুকে সবচাইতে উপযুক্ত মনে করেছিলেন। ফিনিক্স নামক এই রোবটটি যদিও জীবনের পক্ষে তেমন কোন প্রমাণ পায়নি। কিন্তু এমন কিছু ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, যার মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে জীবনের স্পর্শ ছিল এমন ধারণা করা যেতে পারে। মঙ্গল গ্রহের উত্তর মেরুর বিরূপ আবহাওয়ায় ফিনিক্স বেশিদিন কর্মক্ষম থাকতে পারেনি। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে ফিনিক্সের কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।
জীবনের সৃষ্টি:
যদি জেনেটিক দিক দিয়ে বিচার করা যায়, তাহলে বলতে হবে যে সব প্রাণীই আসলে একই সূত্রে গাঁথা। তা সে বিশালাকার হাতি হোক আর ক্ষুদ্রতর ব্যাকটেরিয়া হোক। ২০০৮ সালে জেনেটিক বিজ্ঞানী ক্রেইগ ভেনটার মানুষের জিনোমের সমস্ত ডিজাইনকে আঁকতে পেরেছেন। প্রাথমিকভাবে ৫৮২০০০টি মূল চিহ্নকে তিনি একত্রিত করেতে পেরেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তিনি জেনেটিক কোডগুলোকে একত্রিত করে একটি ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করতে চান। ভেনটর নিজেও এ কাজের সফলতা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান, কিন্তু একজন সফটওয়ার ডিজাইনারের উক্তিটি তার বেশ পছন্দের। "যখন তুমি কোড লেখার পদ্ধতিগুলো জানবে, তখন তুমি যেমন খুশি তেমন প্রোগ্রাম লিখতে পারবে"।
চীনের মহাকাশ জয়:
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে প্রথম মিশন পরিচালনা করে ১৯৬২ সালে। চীন মহাকাশে প্রথম মনুষ্যবাহী যান পাঠায় ২০০৩ সালে। দ্বিতীয়বার পাঠায় ২০০৫ সালে। আর তারা তৃতীয়বার মহাকাশ জয় করে ২০০৮ সালে। প্রথম প্রচেষ্টায় তারা একজন মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়েছিল। দ্বিতীয়বার পাঠায় দুইজনকে, আর তৃতীয়বার পাঠালো তিনজন মহাকাশযাত্রীকে। এ যাত্রায় চীনারা মহাকাশে পদাচারণা করে। একেবারে শূন্য থেকে শুরু করে মাত্র ৫ বছরের মাথায় এরকম বিশাল সাফল্য অর্জন করা কম কথা নয়। তারা আশা করছে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠাবে। ইতিমধ্যে তাদের স্থাপন করা কৃত্রিম উপগ্রহটি সফলতার সাথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।
ধারণার চাইতে বেশি গরিলা রয়েছে:
বিজ্ঞানীরা যা ভাবতেন, তার চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি নিম্নভূমির গরিলা (Lowland Gorilla) কঙ্গোর জঙ্গলে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। Wildlife Conservation Society পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে ১২৫০০০টিরও বেশি গরিলা রিপাবলিক অব কঙ্গোর গহীন অরণ্যে চুপিসারে দিনানিপাত করছে।
সূত্র: টাইম
Monday, January 12, 2009
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 টি মন্তব্য:
Post a Comment
আপনার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য, ভাবনা, ভিন্নমত প্রকাশ করুন। প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে না চাইলে ইমেইল করুন।